১। হজমের সমস্যায় ১-২ চা-চামচ কালোজিরা বেটে পানির সঙ্গে খেতে থাকুন।
এভাবে প্রতিদিন দু-তিন বার খেলে এক মাসের মধ্যে হজম শক্তি বেড়ে যাবে।
পাশাপাশি পেট ফাপা ভাবও দূর হবে।
২। জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশিতে ১ চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ
মধু ও
২ চা-চামচ তুলসি পাতার রস মিশিয়ে প্রতিদিন একবার সেবন করুন। কালোজিরা
বেটে কপালে প্রলেপ দিন যদি সর্দি বসে যায়। একই সঙ্গে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে
কালোজিরা বেধে শুকতে থাকুন, শ্লেষ্মা তরল হয়ে ঝরে যাবে। তাড়াতাড়ি ভালো ফল
পেতে বুকে ও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ করুন।
৩। মায়েদের বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন রাত্রে শোবার আগে
৫-১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেতে থাকুন। ইনশাল্লাহ মাত্র
১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া এ সমস্যা সমাধানে কালোজিরার
ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন।
৪। কপালের দুই পাশ এবং কানের পাশে দিনে ৩-৪ বার কালোজিরার তেল মালিশ করুন মাথা ব্যথা ভালো হয়ে যাবে।
৫। নিয়মিত কালোজিরা খান। এটি মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয়। যার দরুন
স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। এর সঙ্গে এটি প্রাণশক্তি বাড়ায় ও ক্লান্তি দুর
করে।
৬। কালোজিরা লিভার ক্যান্সারের জন্য দায়ী আফলাটক্সিন নামক বিষ ধ্বংস
করে। তাই যারা লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত তারা আজ থেকে খেতে শুরু করে দিন।
৭। চুল পড়া রোধে কালোজিরা নিয়মিত ভাবে খান এতে আপনার চুল পর্যাপ্ত
পুষ্টি পাবে। ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে। আর ভালো ফল পেতে চুলের গোড়ায় এর তেল
মালিশ করতে থাকুন।
৮। ডায়াবেটিকস রোগিরা এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা এক গ্লাস পানির সঙ্গে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে দেখুন, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
থাকবে একসময় ডায়াবেটিকস কমে যাবে।
৯। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কালোজিরার তেল ব্যবহার করুন। শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি দূর করে। হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ করে।
১০। পক্ষাঘাত (প্যারালাইসীস ও কম্পন) রোগে কালোজিরার তেল মালিশ করলে আশ্চর্যজনক ফল পেতে পারেন।
১১। কালোজিরা যৌন ব্যাধি ও স্নায়ুবিক দুর্বলতায় আক্রান্ত রোগীদের জন্যও অতি উৎকৃষ্ট ঔষুধ।
১২। শুলবেদনা ও প্রসুতি রোগে কালোজিরা অত্যধিক উপকারী। ব্রুনের জন্যও এটি উত্তম ঔষধ।
১৩। মূত্রথলির পাথর ও জন্ডিস থেকে আরোগ্য লাভ করতে কালোজিরা খান নিয়মিত যতবার পারেন।
১৪। অধিক ঋতুস্রাব, মাত্রাতিরিক্ত পেশাব প্রতিরোধ করতে কালোজিরার উপকারিতা অপরিসীম। এটি কৃমি নাশক।
১৫। কালোজিরা রিউমেটিক এবং পিঠে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
১৬। নিয়মিত কালোজিরা সেবনে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সতেজ করে ও সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করে।
১৭। ভাত, তরকারী ইত্যদির সাথে কালোজিরা মিশিয়ে খান রোগ শোক থেকে দূরে থাকুন।
No comments:
Post a Comment